ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মহিষ চুরির করেই বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বাঘ-সিংহের খাদ্য সাপ্লাইয়ের অভিযোগ

জমজম হাস imagesএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়ায় মহিষ চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকির অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদি। এ ঘটনায় বাদি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মহিষ চুরির ঘটনার পর চকরিয়া থানা ও বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করে মালিকপক্ষ। দীর্ঘদিন ঘটনাটি বিচারাধীন থাকার পর গতকাল চকরিয়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে সফরপঘা মহিষের মালিকপক্ষ।

জানা যায়, ভেওলা মানিকচরের ছৈনম্মারঘোনার মৃত উলা মিয়ার ছেলে নুরুল আলম, মৃত করিমদাঁদের ছেলে নুরুচ্ছফা ও মৃত রশিদ আহমদের ছেলে আবদুচ সালামের ১০ টি মহিষ ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই চকরিয়া উপজেলার প্যারাবনের চিংড়ি জোনের রামপুরের মৌজার ৪নং পোল্ডারে চারণভুমিতে ঘাষ খাওয়ার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওই বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল, চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনার মোহাম্মদ এরশাদ, সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাশেলসহ ৪-৫ জন ব্যক্তি তাঁদের মহিষগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া মহিষগুলোর মধ্যে মামলার বাদী নুরুল আলমের ২টি, নুরুচ্ছফার ৫টি ও আবদুস ছালামের ৩টি। দীর্ঘদিন পাশ^বর্তী উপজেলাগুলোতে খোঁজাখুজি করার পর কয়েকদিন আগে মামলার বাদীর দুইটি মহিষের মধ্যে একটি আসামীর কাছে পাওয়া যায়। বর্তমানে মহিষটি মামলার এক সাক্ষীর জিম্মায় রয়েছে। বাকী মহিষগুলো অন্যত্র পাচার করেছে বলে দাবি করছেন মামলার বাদী নুরুল আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাঘ ও সিংহসহ বিভিন্ন প্রাণীদের খাবার হিসেবে মাংস সরবারহ করেন।  সাফারি পার্কে বাঘ-সিংহের খাদ্য হিসেবে মহিষের মাংশ সরবরাহ নিষেধ থাকার পর কৌশলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ এসব করা হচ্ছে। নিযোগকৃত ঠিকাদাররা সাথে কম দামে মাংস কিনে নেয় চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গরু-মহিষ চোর সিন্ডিকেটের কাছ থেকে। তা ঠিকাদাররা পার্কে সরবারহ করে। সাফারি পার্কের ঠিকাদাররা কম দামে মাংস পাওয়ায় চকরিয়ার বিভিন্ন গরু-মহিষ চোর সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে গোপন আতাঁত।

চকরিয়ার গরু-মহিষ চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ইসমাইলসহ তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়াসহ পাশ^বর্তী উপজেলা থেকে গরু-মহিষ চুরি করে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বাঘ ও সিংহের খাবার হিসেবে সরবারহ করে আসছে।

মামলার বাদি নুরুল আলম বলেন, মহিষগুলোর আনুমানিক মুল্য ৯লক্ষ টাকা। দীর্ঘদিন থানায় ও ইউনিয়ন পরিষদে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়। পরে চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: